Rambutan cultivation(রাম্বুটান চাসাবাদ)
(soil)উপযোগী মাটি :
উঁচু, বেলে দো-আঁশ মাটি রাম্বুটান চাষের জন্য ভালো।
তবে এঁটেল-দো-আঁশ মাটিতেও চাষ চলে।
তবে মাটিতে বেশি জৈবপদার্থ থাকলে বা দিলে রাম্বুটানের গাছ ভালো বাড়ে ও ফল বেশি ধরে।
মাটির অম্লমান বা পিএইচ মান ৪.৫ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে হওয়া ভালো।
(climate)উপযুক্ত আবহাওয়া :
এশীয় দেশগুলোতে ২২ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার মধ্যে রাম্বুটান জন্মে।
কিছুটা ঠাণ্ডা অঞ্চলে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে ভালো হয়।
যেসব এলাকায় বেশি বৃষ্টিপাত হয় সেখানে রাম্বুটান ভালো হয়। তা না হলে বেশি সেচ দিতে হবে।
(variety)জাত :
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন ও থাইল্যান্ডে যেসব জাত জন্মে ও ভালো ফল দেয় সেগুলোই এ দেশের জন্য নির্বাচন করে চাষ করা যেতে পারে। কেননা ওই সব দেশের আবহাওয়ার সাথে এ দেশের আবহাওয়ার কিছুটা মিল রয়েছে।
বিশ্বে বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য ফিলিপাইনের সিবাবাত, সিঙ্গাপুরের লি, মালয়েশিয়ার পি১, পি৪, পি৫, পি৬, পি৮, পি২২, পি২৮, পি৫৪, পি৬৩ এবং ইন্দোনেশিয়ার মেরাহ ও কোয়েনেং জাতগুলো উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে বারি রাম্বটান-১ এবং BAU Rambutan -1চাষাবাদ করা হচ্চে।
(seedling preparation)চারা তৈরি :
জোড়কলম করে রাম্বুটানের চারা তৈরি করা হয়।
বীজ থেকে গজানো এক বছর বয়সী চারার মাথা কেটে, সেখানে ফাটল করে ফল ধরা কোনো রাম্বুটান গাছের ডগা তেরছা করে কেটে গোজের মতো ঢুকিয়ে ফিতে দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়। এ পদ্ধতিকে বলে ক্লেফট গ্রাফটিং।
চোখকলম করেও সুঠাম আকৃতির ভালো গাছ পাওয়া যায়। বসন্তকাল আসার ঠিক আগে চোখকলম করার উপযুক্ত সময়।
(cultivation process)চাষপদ্ধতি :
বর্ষার আগে লাগানো উত্তম।
সব দিকে ৮০ সেন্টিমিটার থেকে ১ মিটার মাপে গর্ত করে গর্তের মাটিতে আধাআধি পরিমাণ জৈবসার ও মাটি মিশিয়ে সপ্তাহখানেক রেখে দিতে হবে।
তারপর গর্তের মাঝখানে খাড়া করে চারা লাগিয়ে কাঠির সাথে বেঁধে গোড়ায় সেচ দিতে হবে। বাণিজ্যিক বাগান করলে হেক্টরপ্রতি ৮০ থেকে ১২০টি চারা লাগানো যায়।
গাছের কাণ্ড থেকে সব অবাঞ্ছিত ডগা ও মরা ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে। প্রতিবার ফল তোলার পর ফল ধরা ডালগুলোর আগা লিচুগাছের মতো ভেঙে দিতে হবে। ফুল শুকিয়ে যাবে বা ঝরে যাবে।
গাছের বৃদ্ধি বুঝে ও বয়স ধরে ১৪:৪:৩.৫ অনুপাতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ ঘটিত সার প্রয়োগ করতে হবে। অল্প করে ডলোমাইট চুন দেয়া যেতে পারে, তবে বেশি দিলে ক্ষতি হবে।
এমনকি ডলোমাইটের সাথে যদি চুন এক সাথে দেয়া হয় তাতেও গাছের ক্ষতি হবে, বিশেষ করে তরুণ গাছের। গাছের বয়স ২০ বছর না হওয়া পর্যন্ত রোপণের পর থেকেই সার প্রয়োগ চালিয়ে যেতে হবে।
(yield)ফলনঃ
সাধারণত বসন্তের পরপরই শুষ্ক দিনে রাম্বুটানের ফুল আসে এবং গ্রীষ্ম-বর্ষায় ফল পাকে।
ফুল ফোটার পর ফল পাকতে প্রায় ৯০ থেকে ১২০ দিন লাগে।
চারা লাগানোর তিন বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করে এবং ২০ বছর পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়।
জাত অনুযায়ী তিন বছরের একটা গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজি ফল পাওয়া যায়, নয় বছরের একটা গাছে ৫৫ থেকে ২০০ কেজি ফল পাওয়া যায়, ২০ বছরের একটা গাছে ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি ফল পাওয়া যায়। ফল পাকলে লালচে রঙ চলে আসে। তখন একটা একটা করে বা গোটা থোকাসহ ফল তোলা যায় .
উত্তর সমূহ