কলা বারি কলা-৪


  • জাত এর নামঃ

    বারি কলা-৪

  • আঞ্চলিক নামঃ

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

    বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

  • জীবনকালঃ

    সারা বছর দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। পার্বত্য এলাকা থেকে নির্বাচিত চাপা কলার একটি উচ্চ ফলনশীল জাত।
    2. ২। প্রতি কাদিতে ফলের সংখ্যা ১৭৮টি যার ওজন প্রায় ১৯ কেজি।
    3. ৩। ফল মাঝারী আকারের গড় ওজন ৯৭ গ্রাম।
    4. ৪। ফল পাকা হলদে রংয়ের সম্পূর্ণ বীজ বিহীন এবং টক মিষ্টি (ব্রিকা্র মান ২০%) স্বাদের।
    5. ৫। হেক্টর প্রতি ফলন ৪০-৪৫ টন।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

    1. ১ । বপনের সময় : বছরের যে কোন সময়েই কলার চারা রোপণ করা যায়। তবে অতিরিক্ত বর্ষা ও অতিরিক্ত শীতের সময় চারা না লাগানোই উত্তম। বর্ষার শেষে আশ্বিন-কার্তিক মাস চারা রোপণের সর্বোত্তম সময়।
    2. ২ । মাড়াইয়ের সময় : ঋতু ভেদে রোপণের ১০-১৩ মাসের মধ্যেই সাধারনত সব জাতের কলাই পরিপক্ক হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করলে কলার গাঁয়ের শিরাগুলো তিন-চতুর্থাংশ পুরো হলেই কাটতে হয়। তাছাড়াও কলার অগ্রভাগের পুষ্পাংশ শুকিয়ে গেলেই বুঝতে হবে কলা পুষ্ট হয়েছে।
    3. ৩ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি : মধ্যম উর্বর জমির জন্য গাছ প্রতি গোবর/আবর্জনা পঁচাসার ১০ কেজি, ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম, টিএসপি ৪০০ গ্রাম, এমওপি ৬০০ গ্রাম, জিপসাম ২০০ গ্রাম, জিঙ্ক অকা্রাইড ১.৫ গ্রাম ও বরিক এসিড ২ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। উল্লিখিত পরিমাণের সর্ম্পুণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিঙ্কঅক্সাইড ও বরিক এসিড এবং অর্ধেক এমওপি সার গর্ত তৈরির সময় গর্তে দিতে হয়। ইউরিয়া ও বাকী অর্ধেক এমওপি চারা রোপণের ২ মাস পর থেকে ২ মাস পর পর ৩ বারে এবং ফুল আসার পর আরও একবার গাছের চর্তুদিকে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হয়। সার দেয়ার সময় জমি হালকাভাবে কোপাতে হবে যাতে শিকড় কেটে না যায়। জমির আর্দ্রতা কম থাকলে সার দেয়ার পর পানি সেচ দেয়া একান্ত প্রয়োজন।