১। ১. মধ্যম মাত্রার ইলঙ্গেশন, জলমগ্নতা সহিষ্ণুতা ও অগভীর পানিযুক্ত অঞ্চলের চাষের উপযোগী। ২. গাছের চারা লম্বা ও দ্রুত বর্ধনশীল। একইসাথে লম্বা ও হেলে পড়া সহিষ্ণু। ৩. উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ৪. ডিগপাতা খাড়া ও লম্বা, রং গাঢ় সবুজ ও শিকড় সুপ্রসারিত। ৫. মজবুত কান্ড মুড়ি ফসলের জন্য উপযোগী। ৬. এ ধানের দানা মাঝারি মোটা আকৃতির রং হারকা বাদামী। ৭. শীষে পুষ্ট দানার সংখ্যা বেশি এবং শীষ থেকে ধান সহজে ঝড়ে পড়ে না। ৮. চাল মাঝারি মোটা এবং ভাত সাদা ও ঝরঝরে। ৯. ১০০০টি পুষ্ট দানের ওজন প্রায় ২৬ গ্রাম। ১০. এ জাতটি আলোক সংবেদনশীল।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজতলায় বীজ বপনঃ
: বৈশাখের মাঝামাঝি হতে জুনের শেষ সপ্তাহ (01 মে হতে জুনের ১ম সপ্তাহ)
২ । চারার বয়স ও রোপন দূরত্বঃ
: ২০-২৫ দিন বয়সী চারা ২০×১৫ সে.মি. ব্যবধানে লাগাতে হবে।
৩ । চারার সংখ্যাঃ
: প্রতি গোছায় ২-৩ টি করে।
৪ । সার ব্যবস্থাপনাঃ (কেজি/বিঘা)
: ইউরিয়া: ২০ কেজি, টিএসপি: ১৪ কেজি, এমওপি: ১০ কেজি, জিপসাম: ০৯ কেজি, দস্তা (জিংক সালফেট): ১.৫ কেজি।
৫ । আগাছা দমনঃ
: জমি অবশ্যই আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
৬ । সেচ ব্যবস্থাপনাঃ
: বৃষ্টি না হলে প্রয়োজন মাফিক সম্পূরক সেচ দিতে হবে।
৭ । রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমনঃ
: এ জাতে রোগের আক্রমণ অন্যান্য জাতের তুলনায় কম। তবে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে অনুমোদিত বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
৮ । ফসল কাটাঃ
: অক্টোবর মাসের ৩য় সপ্তাহ হতে নভেম্বরের ২য় সপ্তাহ।
এ জাতের বিশেষ প্রয়োজনীয়তাঃ
বৃহত্তর কুমিল্লা, ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জ অঞ্চলের অগভীরের নীচু জলাবদ্ধতাযুক্ত জমিতে এ ধান চাষ করা যায়। এটি স্থানীয় জলি আমন জাতের চেয়ে ১০-১৫ দিন আগাম ও দ্বিগুন ফলন দিতে সক্ষম। প্রায় দ্বিগুন শুকনো খড় উৎপাদন করে। গো খাদ্য হিসেবে খড়ের মান ভালো।