১। এটি আমন জাতের উচ্চ ফলণশীল, স্বল্প মেয়াদী, খরা সহিষ্ণু (৩০% পানি কম প্রয়োজন), সার কম লাগে (প্রচলিত জাতের তুলনায় ২০-৩০% কম লাগে)
২। গাছ খাট ও শক্ত বলে হেলে পড়ে না ।
৩। আগাম পাকে বিধায় কাটার পর সহজেই আলু, গম বা রবিশস্য চাষ করা যায়।
৪। জাতটি প্রায় সব ধরনের পোকার আক্রমন ও বিভিন্ন রোগ যথাঃ পাতা পোড়া, খোল পঁচা ও কান্ড পঁচা ইত্যাদি রোগ তুলনামূলকভাবে বেশী প্রতিরোধ করতে পারে।
৫। ধান ও চাল লম্বা এবং চিকন, খেতে সুস্বাদু। ফলে বাজার মূল্য বেশী ও রপ্তানীর উপযোগী। চাউলে এ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৪.৬%। রান্নার পর ভাত ঝরঝরে হয় এবং দীর্ঘক্ষণ রাখলে নষ্ট হয় না।
৬। বিনাধান-১৭ আমন মৌসুমের জন্য আনুমোদিত হলেও জাতটি প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায় অর্থাৎ আউস ও বোরো মৌসুমে চাষ করা যায়।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । চাষাবাদের সময়
: জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে বীজতলায় বীজ বপন করতে হবে।
২ । বীজতলা তৈরী ও বীজের হার
: সারাদিন রোদ থাকে এমন যায়গায় বীজতলা তৈরী করতে হবে।বীজতলার জমি উর্বর ও পানি সেচ এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে চম। ১০কেজি বীজ ৫ শতাংশ জমিতে বপন করা যায়। প্রতি একর জমি চাষের জন্য ১০-১২ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
৩ । চারা রোপন
: জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ হতে আগষ্টের শেষ সপ্তাহে ২০-২৫ দিন বয়সের চারা রোপন করতে হবে। প্রতি গোছায় ২-৩ টি করে চারা রোপন করতে হবে।