৩। গাছের গোড়া খয়েরী রং এর এবং দানায় কাঁচা অবস্থায় লাল বর্ণের টিপ (Apiculus) বিদ্যমান।
৪। স্বাভাবিক অবস্থায় গাছ প্রতি গুচ্ছির সংখ্যা ১২-১৫টি।
৫। চালে শর্করার পরিমান ২৩.৪%।
৬। দানার আকৃতি সরু ও লম্বা।
৭। চালে প্রোটিনের ৯%।
৮। চালে প্রোটিনের ৯%।
৯। চালে প্রোটিনের ৯%।
১০। ভাত ঝরঝরে।
১১। উভয় মৌসুমে এই জাতটির বীজ উৎপাদন সম্ভব এবং বানিজ্যিকভাবে লাভজনক। আমন ও বোরো মৌসুমে পিতৃ ও মাতৃ সারির জীবনকালের যথাক্রমে পার্থক্য ৮ দিন ও বোরো ১৪ দিন।
১২। আমন মৌসুমে বীজ উৎপাদনে হেক্টর প্রতি ফলন ১.৫-২.০ টন এবং বোরো মৌসুমে ২.৫-২.৮ টন।
২ । চারা রোপণ
: ১-৩০ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর-১৫ জানুয়ারি)। চারা লাগানোর ৫-৭ দিনের মধ্যে মরা গুছির জায়গায় পূনঃরোপণ (Gap filling) করতে হবে।
৩ । বীজের হার
: ১৫ কেজি/হেক্টর।
৪ । চারার বয়স
: ৩০-৩৫ দিন।
৫ । রোপণ দূরত্ব
: ১৫ × ২৫ সেমি।
৬ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গোছায় চারা ১-২ টি।
৭ । ইউরিয়া সার(কেজি/বিঘা)
: ৩৬
৮ । টিএসপি সার(কেজি/বিঘা)
: ১৭
৯ । এমওপি সার(কেজি/বিঘা)
: ১৬
১০ । জিপসাম সার(কেজি/বিঘা)
: ৯
১১ । জিংক সালফেট সার(কেজি/বিঘা)
: ১
১২ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: ইউরিয়া সার সমান ৩ কিস্তিতে রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ৩০-৩৫ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৫০-৫৫ দিন পর ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে। মোট এমওপি সারের ১১ কেজি জমি তৈরির সময় এবং ৫ কেজি ৩য় কিস্তি ইউরিয়ার সাথে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
১৩ । আগাছা দমন
: আগাছা দমনে আগাছানাশক ব্যবহার করলে প্রথম কিস্তিতে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের সাথে অনুমোদিত আগাছানাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে এবং ক্ষেতে সেচ দিয়ে পানি ১০-১৫ দিন বেঁধে রাখতে হবে।
১৪ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: সার উপরি প্রয়োগের পূর্বে জমি ২-৩ বার শুকনা দিতে পারলে অধিক কুশি পাওয়া সম্ভব। পরিমিত সেচ ব্যহার করতে হবে এবং ধানে দুধ আসা পর্যন্ত জমিতে প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫ । রোগবালাই দমন
: রোগ ও পোকামাকড়ের জন্য অনুমোদিত বালাই ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে হবে।
১৬ । ফসলের পরিপক্কতা ও কর্তনের সময়
: ২৫ চৈত্র-৫ বৈশাখ (৫-১০ এপ্রিল)। সাধারণত: শীষের অগ্রভাগ থেকে ৮০ ভাগ পেঁকে গেলে ধান কাঁটতে হয়।