৪। কোন কোন দানার (Spikelet) অগ্রভাগে শুং দেখা যেতে পারে।
৫। চালের আকার মাঝারি চিকন, সাদা এবং ভাত ঝরঝরে ।
৬। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২১.২ গ্রাম।
৭। চালে এমাইলোজের পরিমাণ ২৭.০%।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ তলায় বীজ বপন
: বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হলো ০১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই অর্থাৎ আষাঢ়ের ১৭ তারিখ থেকে শ্রাবণের ১৫ তারিখের মধ্যে।
২ । চারার বয়স
: ২৫-৩০ দিন।
৩ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গুছিতে ২/৩ টি।
৪ । রোপন দুরত্ব
: ২০ সে.মি. X ১৫ সে.মি.।
৫ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ২৪
৬ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১০
৭ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১২
৮ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩.৩
৯ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১.৩
১০ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় টিএসপি, অর্ধেক এমপি, জিপসাম এবং জিংক সালফেট একসাথে প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে যথা রোপনের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ৩০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং কাইচথোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক এমপি সার শেষ কিস্তি ইউরিয়ার সাথে প্রয়োগ করতে হবে। জিংকের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিংক সালফেট এবং সালফারের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিপসাম ইউরিয়ার মত উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
১১ । আগাছা দমন
: রোপনের পর অন্তত ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
১২ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: থোড় অবস্থা থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত রস বা পানি রাখতে হবে।
১৩ । রোগবালাই দমন
: ব্রি ধান৭৩ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণে বালাই নাশক প্রয়োগ করা উচিৎ।
১৪ । ফসল পাকা ও কাটা
: ০১-৩০ নভেম্বর ধান কাটার উপযুক্ত সময়।